পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম রাব্বি ও তার বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি ও তার ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

গত রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গুড়া স্মৃতিসৌধের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিট শেষে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। গোলাম রাব্বি জাতীয় দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। 

হামলার মূল অভিযুক্ত রানা আহমেদ দুলু ভাঙ্গুড়া উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন ভবানীপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোরজান আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গুড়া স্মৃতিসৌধের সামনে রানা আহমেদ দুলু (৩২), তার ভাই রাকিব আহমেদ (৩৫) এবং তাদের সঙ্গে থাকা আরও দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি সাংবাদিক গোলাম রাব্বিকে একটি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য চাপ দেন। রাব্বি রাজি না হলে তারা গালিগালাজ শুরু করেন এবং পরে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে আবারও ওই নেতা ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিক রাব্বির বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সাংবাদিক গোলাম রাব্বি ও তার বাবা মো. মাসুদ রানাকে মারপিট করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। ঘটনার পর গোলাম রাব্বি ভাঙ্গুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সুশীল মহল এ ঘটনাকে মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছেন। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

মারপিটের বিষয়ে জানতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি রানা আহমেদ দুলুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পাবনা জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতির মো. রুবেল শেখ বলেন, আমার সংগঠনের কোনো ব্যক্ত যদি সাংবাদিককে মারধর করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।