০৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় ট্রেনযাত্রীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়/বাংলা ট্রিবিউন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই যুবক এবং ট্রেনের বেশকিছু যাত্রী।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রবিবার পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলায় সোমবার রাতে শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস থামানো হয়। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তারা স্টেশন মাস্টারকে মারধরের চেষ্টা চালান। এরপর আরও যাত্রী নেমে তাণ্ডব চালালে স্থানীয়রা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত যাত্রীরা স্থানীয়দের ওপর হামলা চালান। নজরুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালান যাত্রীরা।

জানা গেছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অন্য গ্রামবাসীদের খবর দেওয়া হয়। মুহূর্তেই শত শত মানুষ একজোট হয়ে যাত্রীদের প্রতিহত করে। এক পর্যায়ে ট্রেনের যাত্রীরা পিছু হটে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় আহত স্থানীয় দুই যুবক হলেন- কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জানতে পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

পাবনায় ট্রেনযাত্রীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

Update Time : ০৪:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়/বাংলা ট্রিবিউন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই যুবক এবং ট্রেনের বেশকিছু যাত্রী।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রবিবার পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলায় সোমবার রাতে শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস থামানো হয়। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তারা স্টেশন মাস্টারকে মারধরের চেষ্টা চালান। এরপর আরও যাত্রী নেমে তাণ্ডব চালালে স্থানীয়রা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত যাত্রীরা স্থানীয়দের ওপর হামলা চালান। নজরুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালান যাত্রীরা।

জানা গেছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অন্য গ্রামবাসীদের খবর দেওয়া হয়। মুহূর্তেই শত শত মানুষ একজোট হয়ে যাত্রীদের প্রতিহত করে। এক পর্যায়ে ট্রেনের যাত্রীরা পিছু হটে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় আহত স্থানীয় দুই যুবক হলেন- কামরুল হাসান রিফাত ও আকাশ। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।

ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জানতে পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’