ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে জাল অক্ষত রেখে ড্র, দুইবার পিছিয়ে যাওয়ার পরও ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানকে রুখে দেওয়া- জর্ডান সফরের মূল্যায়নে বসে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন পিটার জেমস বাটলার। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গর্বের সুরে বললেন, দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছে ঋতুপর্ণা-আফঈদা-রিপারা।
আম্মানের কিং আব্দুল্লাহ (২) স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জার্ডানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে করে গোলশূন্য ড্র। এবার জালের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
গত বছর উইমেন’স সাফ জিতে আসার পর বাটলারের বিরুদ্ধে ১৮ ফুটবলারের বিদ্রোহে নড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল। এরপর নড়বড়ে দল নিয়ে গত মার্চে প্রথম সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়েছিলেন বাটলার। দুই ম্যাচেই হারের স্কোরলাইন ছিল একই, ৩-১। দুই ম্যাচে গোল করেছিলেন অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার।
বিদ্রোহের অবসানের পর ফেরা নয় জনকে নিয়ে জর্ডান সফরে গিয়েছিলেন বাটলার। মূলত ২৯ জুন মিয়ানমারে শুরু হতে যাওয়া এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের আগে দলের শক্তি, দুর্বলতা পরখ করে নিতেই এই সফরে যাওয়া। দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে রুখে দেওয়ার পর বাটলার বললেন, যা চেয়েছিলেন তা পেয়েছেন।

দলকে উৎসাহ দিতে আসা বাংলাদেশি সমর্থকদের সঙ্গেও ছবি তুললেন খেলোয়াড়-কোচরা। ছবি: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
“এই সপ্তাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে, সেটা হচ্ছে এই মেয়েদের মানসিক দৃঢ়তা, দলের প্রতি তাদের নিবেদন, নিষ্ঠা, আমি তাদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত। কোচিং স্টাফসহ সবাই আসলেই কঠোর পরিশ্রম করেছে, আজ রাতে আমরা অনেক অনেক দৃঢ়তাপূর্ণ একটা দলকে, মেয়েদেরকে দেখলাম।”
“বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে, এমন একটা কন্ডিশনে খেলা কঠিন… শেখার জন্য দারুণ একটা সপ্তাহ ছিল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা সহজ ছিল না। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আমরা প্রথম খেললাম; তুলনামূলকভাবে তাদের চেয়ে ভালো ছিলাম। চমৎকার ফুটবল খেলেছিলাম।”
এর আগে ২০২১ সালের দেখায় এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে জর্ডানের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের চোখে চোখ রেখে ড্র করায় মেয়েদের নিয়ে দারুণ গর্বিত বাটলার।
“আজ জর্ডানের বিপক্ষেও দারুণ খেলেছে মেয়েরা। আমার মনে হয়েছে, একটা সময় আমরা ওদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলাম। যদিও শারীরিকভাবে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল।”
“আজ আমরা ভালো খেলেছি। যে পরিচয়ে, সে ধাঁচে আমরা খেলতে চেয়েছি, সেটা আমরা পরিষ্কারভাবে পেয়ে গেছি। আমি মনে করি, কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান একটা সময় পাওয়াই যায়। আমি সত্যিই এই মেয়েদের নিয়ে গর্বিত।”
Reporter Name 














