১০:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশের পরেই পাঠকের আগ্রহে ‘বিএনপির ৩১ দফা’ বই

  • সংগৃহীত
  • Update Time : ০৫:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ৩৫ Time View

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মল্লিক হাসান সম্পাদিত ‘বিএনপির ৩১ দফা; উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি পর্যালোচনা’ বইটি বাজারে এসেছে। বইটি আগ্রহী পাঠকদের নজর কেড়েছে।

বিএনপির প্রণীত ৩১ দফার নানা দিক নিয়ে ১১ জন লেখকের প্রবন্ধ বইটিতে স্থান পেয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।  

প্রকাশনীর সেলস বিভাগের প্রধান খায়রুল ইসলাম প্রথমদিনে মেলায় বইটির বিক্রি সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, বইটি সম্পর্কে পাঠকের আগ্রহ বেশ ভালো। মেলায় আসার আগেই অনেকে অনলাইনে প্রি-অর্ডার করে রেখেছেন। আজ বাংলা একাডেমিতে ‘তারেক রহমান সংগ্রাম ও রাজনৈতিক যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও বইটি রয়েছে এবং আজ বিক্রি হছে। প্রথমদিন হিসেবে বিক্রি বেশ ভালো।

বইটিতে ভূমিকায় তারেক রহমান লিখেছেন, রাষ্ট্র-সরকার-রাজনীতি-রাজনৈতিক দল মেরামতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে এখন সারা দেশে জনগণের সঙ্গে সংলাপ চলছে। সংস্কারের দফা ৩১টি হলেও চূড়ান্ত লক্ষ্য ‘একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। উদ্দেশ্যও একটি, ‘রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা’। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি কোনোটাই টেকসই হয় না। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই।

তিনি লিখেছেন, যতবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, প্রতিবারই জনগণ ছিল রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন। দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি ধরে রাখার জন্যই রাষ্ট্র এবং সমাজে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত রাখা জরুরি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বকার পরিস্থিতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের আগেও দেশে গণতন্ত্র ছিল না। মানুষের ভোটাধিকার ছিল না। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। ছিল না মানুষের মতামতের গুরুত্ব। দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র করার অপচেষ্টা বিদ্যমান ছিল।  

‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বকার দেড় দশকেও দেশে একই রকমের দুঃসহ পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ’৭২-৭৫-এর দুঃশাসনকেও হার মানিয়েছিল। আয়নাঘর, গুম-খুন-অপহরণ কিংবা সীমান্তের ওপারে রেখে আসার ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণকে অধিকারহীন-নিরাপত্তাহীন করে ফেলা হয়েছিল। মানুষকে স্বাধীনতার সৌরভ আর অধিকারের গৌরব প্রায় ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ’

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের মধ্যে মতের অমিল কিংবা ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি। বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্য পূরণে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে জনগণের সঙ্গে সংলাপ চলমান রয়েছে।  

বইটিতে ‘বিএনপির ৩১ দফা: বহুত্ববাদীতা ও জনগণের মালিকানা’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন ড. মারুফ মল্লিক।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদুল আলম হিটো লিখেছেন ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে বিএনপির ৩১ দফা: একটি মূল্যায়ন’ প্রবন্ধ। ৩১ দফা ও গণমাধ্যম শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী হাসান লিখেছেন ‘উজ্জ্বল বাংলাদেশের রূপরেখা: বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ প্রবন্ধটি।

‘বিএনপির ৩১ দফা ও বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতার প্রশ্ন’ প্রবন্ধ লিখেছেন সাংবাদিক ও সংবিধান গবেষক আমীন আল রশীদ। ৩১ দফার অর্থনৈতিক সংস্কার প্রবন্ধ লিখেছেন গণমাধ্যমকর্মী শওকত কল্লোল, ৩১ দফায় নারী ও স্বাস্থ্য নিয়ে লিখেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক শামারুহ মির্জা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক লিখেছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মহিমাম্বিত আত্মত্যাগ শীর্ষক প্রবন্ধ।

তারুণ্যের চোখে আজকের বিএনপি ও ৩১ দফা শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন কলামিস্ট শাহাদাত স্বাধীন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী শায়রুল কবির খান লিখেছেন বিএনপির ৩১ দফার ১৮ নম্বর দফা এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান লিখেছেন ‘সুশাসন ও সুষম উন্নয়ন: একটি নতুন রাষ্ট্র গড়ার রূপরেখা’ প্রবন্ধ।  

বইটির গায়ের মূল্য ৩৬০ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

প্রকাশের পরেই পাঠকের আগ্রহে ‘বিএনপির ৩১ দফা’ বই

Update Time : ০৫:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মল্লিক হাসান সম্পাদিত ‘বিএনপির ৩১ দফা; উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি পর্যালোচনা’ বইটি বাজারে এসেছে। বইটি আগ্রহী পাঠকদের নজর কেড়েছে।

বিএনপির প্রণীত ৩১ দফার নানা দিক নিয়ে ১১ জন লেখকের প্রবন্ধ বইটিতে স্থান পেয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।  

প্রকাশনীর সেলস বিভাগের প্রধান খায়রুল ইসলাম প্রথমদিনে মেলায় বইটির বিক্রি সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, বইটি সম্পর্কে পাঠকের আগ্রহ বেশ ভালো। মেলায় আসার আগেই অনেকে অনলাইনে প্রি-অর্ডার করে রেখেছেন। আজ বাংলা একাডেমিতে ‘তারেক রহমান সংগ্রাম ও রাজনৈতিক যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও বইটি রয়েছে এবং আজ বিক্রি হছে। প্রথমদিন হিসেবে বিক্রি বেশ ভালো।

বইটিতে ভূমিকায় তারেক রহমান লিখেছেন, রাষ্ট্র-সরকার-রাজনীতি-রাজনৈতিক দল মেরামতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে এখন সারা দেশে জনগণের সঙ্গে সংলাপ চলছে। সংস্কারের দফা ৩১টি হলেও চূড়ান্ত লক্ষ্য ‘একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। উদ্দেশ্যও একটি, ‘রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা’। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি কোনোটাই টেকসই হয় না। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই।

তিনি লিখেছেন, যতবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, প্রতিবারই জনগণ ছিল রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন। দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি ধরে রাখার জন্যই রাষ্ট্র এবং সমাজে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত রাখা জরুরি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বকার পরিস্থিতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের আগেও দেশে গণতন্ত্র ছিল না। মানুষের ভোটাধিকার ছিল না। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। ছিল না মানুষের মতামতের গুরুত্ব। দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র করার অপচেষ্টা বিদ্যমান ছিল।  

‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বকার দেড় দশকেও দেশে একই রকমের দুঃসহ পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ’৭২-৭৫-এর দুঃশাসনকেও হার মানিয়েছিল। আয়নাঘর, গুম-খুন-অপহরণ কিংবা সীমান্তের ওপারে রেখে আসার ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণকে অধিকারহীন-নিরাপত্তাহীন করে ফেলা হয়েছিল। মানুষকে স্বাধীনতার সৌরভ আর অধিকারের গৌরব প্রায় ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ’

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের মধ্যে মতের অমিল কিংবা ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি। বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্য পূরণে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে জনগণের সঙ্গে সংলাপ চলমান রয়েছে।  

বইটিতে ‘বিএনপির ৩১ দফা: বহুত্ববাদীতা ও জনগণের মালিকানা’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন ড. মারুফ মল্লিক।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদুল আলম হিটো লিখেছেন ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে বিএনপির ৩১ দফা: একটি মূল্যায়ন’ প্রবন্ধ। ৩১ দফা ও গণমাধ্যম শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী হাসান লিখেছেন ‘উজ্জ্বল বাংলাদেশের রূপরেখা: বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ প্রবন্ধটি।

‘বিএনপির ৩১ দফা ও বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতার প্রশ্ন’ প্রবন্ধ লিখেছেন সাংবাদিক ও সংবিধান গবেষক আমীন আল রশীদ। ৩১ দফার অর্থনৈতিক সংস্কার প্রবন্ধ লিখেছেন গণমাধ্যমকর্মী শওকত কল্লোল, ৩১ দফায় নারী ও স্বাস্থ্য নিয়ে লিখেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক শামারুহ মির্জা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক লিখেছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মহিমাম্বিত আত্মত্যাগ শীর্ষক প্রবন্ধ।

তারুণ্যের চোখে আজকের বিএনপি ও ৩১ দফা শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন কলামিস্ট শাহাদাত স্বাধীন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী শায়রুল কবির খান লিখেছেন বিএনপির ৩১ দফার ১৮ নম্বর দফা এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান লিখেছেন ‘সুশাসন ও সুষম উন্নয়ন: একটি নতুন রাষ্ট্র গড়ার রূপরেখা’ প্রবন্ধ।  

বইটির গায়ের মূল্য ৩৬০ টাকা।