০৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ২২ Time View

পাবনার ভাঙ্গুড়ার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার নিয়ে উঠেছে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা অফিসের সরবরাহকৃত তথ্য অনুযায়ী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে “কাজের বিনিময়ে টাকা” (কাবিটা- নগদ অর্থ) কর্মসূচির আওতায় ১৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৮১৫ টাকা এবং (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ৩৮টি প্রকল্পে ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের সভাপতি ইউএনও মোছা. নাজমুন নাহার কৌশলে জনগণের এই প্রকল্পের অর্থ (কাবিটা) উপজেলা পার্ক চত্বরে মাঠ ভরাট করণে ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, (টিআর) উপজেলা পার্কের খেলাধুলার সরনজাম স্থাপন, ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,উপজেলা পরিষদ চত্তর সৌন্দর্য বন্ধন করণে ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সংস্কার করেণে ৬০ হাজার ৯৯৪ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে যা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, দরিদ্র জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থকে নিজের খেয়ালখুশিমতো ব্যয় করা সরকারের নীতিমালার পরিপন্থী। তারা এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত দাবি করেছেন। প্রকল্প পিআইসি আব্দুল হাকিম বলেন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলার কোট পাকা করেছি ও কয়েকটি চেয়ার কিনেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বলেন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সংস্কার, উপজেলা পরিষদ চত্তর সৌন্দর্য বন্ধন করণসহ সকল প্রকল্পই জন গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প দেওয়া হয়েছে এবং সেই প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ প্রকল্প গুলো ও আমার মনে হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ।

তবে সচেতন মহলের দাবি, এসব অনিয়ম বন্ধ করে প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীদের জন্য ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

Update Time : ০১:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়ার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার নিয়ে উঠেছে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা অফিসের সরবরাহকৃত তথ্য অনুযায়ী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে “কাজের বিনিময়ে টাকা” (কাবিটা- নগদ অর্থ) কর্মসূচির আওতায় ১৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৮১৫ টাকা এবং (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ৩৮টি প্রকল্পে ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের সভাপতি ইউএনও মোছা. নাজমুন নাহার কৌশলে জনগণের এই প্রকল্পের অর্থ (কাবিটা) উপজেলা পার্ক চত্বরে মাঠ ভরাট করণে ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, (টিআর) উপজেলা পার্কের খেলাধুলার সরনজাম স্থাপন, ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,উপজেলা পরিষদ চত্তর সৌন্দর্য বন্ধন করণে ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সংস্কার করেণে ৬০ হাজার ৯৯৪ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে যা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, দরিদ্র জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থকে নিজের খেয়ালখুশিমতো ব্যয় করা সরকারের নীতিমালার পরিপন্থী। তারা এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত দাবি করেছেন। প্রকল্প পিআইসি আব্দুল হাকিম বলেন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলার কোট পাকা করেছি ও কয়েকটি চেয়ার কিনেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বলেন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সংস্কার, উপজেলা পরিষদ চত্তর সৌন্দর্য বন্ধন করণসহ সকল প্রকল্পই জন গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প দেওয়া হয়েছে এবং সেই প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ প্রকল্প গুলো ও আমার মনে হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ।

তবে সচেতন মহলের দাবি, এসব অনিয়ম বন্ধ করে প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীদের জন্য ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।