ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: বিনম্র শ্রদ্ধায় ঈশ্বরদীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার ( ৩১ মে) বাংলার রাখাল রাজা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের মহানায়ক ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
সকালে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাচ ধারণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলা শ্রমিক দল বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শহিদ প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গরীব, দুস্থ, এতিমের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাভাপতি মো. ভাষা প্রমানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আব্দুর গফুর সাধারণ সম্পাদক পাবনা জেলা শ্রমিকদল, মো. মকলেছুর রহমান বাবলু কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র, মো. জাকারিয়া পিন্টু পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও মো. আহসান হাবিব সদস্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় কমিটি। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মো. ছবি মন্ডল সাধারণ সম্পাদক ঈশ্বরদী উপজেলা শ্রমিকদল।
বক্তব্য রাখেন, ইব্রাহিম হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সাধারন সম্পাদক, হোসনেয়ারা বেগম পৌর ৩ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভানেত্রী, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, খোরশেদ আলম দিপু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান ফুল জুয়েল, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আবু সাঈদ লিটন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার তৌফিক আলম সোহেল, মোছাঃ মাফরুহা পারভীন উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক, মো. মাসুদ রানা নয়ন সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দল।
বক্তারা বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বাংলার রাখাল রাজা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ কখনো স্বাধীন হতোনা। ফ্যাসিষ্ট সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জিয়া পরিবারের বিশোদগার নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি শেখ মজিবকে মিথ্যার ফুল ঝুড়ি দিয়ে জাতীর কাছে তুলে ধরতেন। বিএনপি সরকার এদেশে প্রথম শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। একই সাথে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যবস্থা করেছেন।
এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আজকে বিদেশ থেকে যে রেমিটেন্স আমাদের দেশে আসে সেটার ও ব্যবস্থা করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান এদেশের মেহনতি মানুষের পক্ষে সব সময় ছিলেন। তার উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে দেশ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে বেইমানি করার কারণে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। চিন্তা বিহিন নিদ্রা যাপন করবে।