০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদা দাবির অভিযোগ ব্যবসায়ীর, বিএনপি নেতা বললেন চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭ Time View

অভিযুক্ত মোতালেব হোসেন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির এক নেতা চাঁদা না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একেএম হানিফ বাবলু।

অভিযুক্ত নেতা হলেন- ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পাবনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোতালেব হোসেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হানিফ বাবলু গতকাল রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গুড়া থানায় জিডি করেন। 

জিডিতে হানিফ বাবলু উল্লেখ করেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের বকুলতলা মোড়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে মোতালেব হোসেন ও তার সহযোগী শাহ শিকদার চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে আপত্তি জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তারা। এ সময় বাবলুর দুটি মাইক্রোবাস সড়কে চলাচল করলে ভাঙচুরের হুমকি দেন। সেইসঙ্গে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হানিফ বাবলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোতালেব আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছেন। আমি তা দিতে রাজি হইনি। তখন তিনি বলেন, “তোমার দুটি গাড়ি ভেঙে ফেলা হবে এবং গাড়ি রাস্তায় চললে তোমাকেও মেরে ফেলা হবে”। জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও হামলার আশঙ্কায় থানায় জিডি করেছি।’

ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মোতালেব হোসেন। বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি পাবনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখা সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সুযোগে পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তার করছেন। প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রায়ই চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমি একজন দরিদ্র মানুষ এবং হার্টের অসুখে ভুগছি। মূলত চিকিৎসা সহায়তা চাইতে আমি বাবলুর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টিকে চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। তখন আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বলেছিলাম, তার গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করা করবো আমরা।’

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবু খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাঙ্গুড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরজাহান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

চাঁদা দাবির অভিযোগ ব্যবসায়ীর, বিএনপি নেতা বললেন চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছি

Update Time : ০১:৪০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিযুক্ত মোতালেব হোসেন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির এক নেতা চাঁদা না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একেএম হানিফ বাবলু।

অভিযুক্ত নেতা হলেন- ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পাবনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোতালেব হোসেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হানিফ বাবলু গতকাল রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গুড়া থানায় জিডি করেন। 

জিডিতে হানিফ বাবলু উল্লেখ করেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের বকুলতলা মোড়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে মোতালেব হোসেন ও তার সহযোগী শাহ শিকদার চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে আপত্তি জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তারা। এ সময় বাবলুর দুটি মাইক্রোবাস সড়কে চলাচল করলে ভাঙচুরের হুমকি দেন। সেইসঙ্গে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হানিফ বাবলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোতালেব আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছেন। আমি তা দিতে রাজি হইনি। তখন তিনি বলেন, “তোমার দুটি গাড়ি ভেঙে ফেলা হবে এবং গাড়ি রাস্তায় চললে তোমাকেও মেরে ফেলা হবে”। জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও হামলার আশঙ্কায় থানায় জিডি করেছি।’

ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মোতালেব হোসেন। বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি পাবনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখা সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সুযোগে পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তার করছেন। প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রায়ই চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমি একজন দরিদ্র মানুষ এবং হার্টের অসুখে ভুগছি। মূলত চিকিৎসা সহায়তা চাইতে আমি বাবলুর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টিকে চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। তখন আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বলেছিলাম, তার গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করা করবো আমরা।’

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবু খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাঙ্গুড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরজাহান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’