পাবনার রূপপুর গ্রীন সিটি প্রকল্প
পাবনার গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলী হলেন মো. শাহীন উদ্দিন এবং মো. আলমগীর হোসেন। এর মধ্যে মো. শাহীন উদ্দিনকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ এবং মো. আলমগীর হোসেনকে ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা গণপূর্ত উপবিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিন (সাময়িক বরখাস্তকৃত) এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন রাজশাহী গণপূর্ত জোনে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি ওই সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। উক্ত বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৯ মে তারিখে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির সুপারিশে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহীন উদ্দিনকে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের পরামর্শে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন তদন্ত কমিটির সুপারিশে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।