না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় মুস্তাফিজ হাসান ভাই। তিনি নওগাঁ ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওগাঁ ডিবি পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে তিনি বগুড়া ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি), শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ি, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ বগুড়া জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, স্ত্রীসহ তিনি সিলেট থেকে নওগাঁ ফিরছিলেন। গাজীপুর পুলিশ লাইন্সে কিছু সময় যাত্রা বিরতি করেন। শুক্রবার, (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে মহাসড়ক পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় হাসপাতালে মুস্তাফিজ হাসান মৃত্যুবরণ করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার স্ত্রী লতিফা জেসমিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান হলেও মোস্তাফিজ হাসান ছিলেন অসংখ্য মানবিক গুণাবলীর অধিকারী। তিনি নিজ এলাকায় বহু এতিম, অনাথ ও দুঃস্থ শিশুদের নিজ খরচে লালন-পালন করে বিয়ে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মক্ষেত্রেও ছিলেন দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তা। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে অসংখ্য অসহায় মানুষ বিপাকে পড়বেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—২০১৫ সালে তিনি একটি এফিডেভিট করে যান, যেখানে উল্লেখ করেন তার মৃত্যুর পর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য দান করা হবে।