পাবনার বেড়া উপজেলায় মিলাত পড়া ও মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাফিজুর রহমান হাফিজ বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তিনি শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,তারাপুর গ্রামে আগে থেকেই দুটি মসজিদ রয়েছে,একটি ‘পুরনো মসজিদ’ এবং অন্যটি সম্প্রতি নির্মিত ‘নতুন মসজিদ’। কয়েক বছর আগে কিয়াম পড়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পুরনো মসজিদের একাংশের সদস্য এবং সাবেক ক্যাশিয়ার মতিন ‘কিয়াম’-এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদের পক্ষে অবস্থান নেন। সম্প্রতি নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বারান্দা নির্মাণের কাজ শুরু হলে বিরোধপূর্ণ অপর পক্ষ বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ২০০ থেকে ২৫০ জন লাঠিসোটা, হাঁসুয়া ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাফিজুর রহমান হাফিজকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।তার মৃত্যুর পর শনিবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। কিছু বাড়িতে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শনিবার অগ্নিসংযোগ এর আগে ঔই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেলিম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ১ নিহত , ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
-
Reporter Name
- Update Time : ০৮:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
- ১৭ Time View
Tag :
জনপ্রিয় খবর