বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় চাল, গম ও খাদ্যশস্যে পোকার আনাগোনা বেড়ে যায়। এক ধরনের কালো ছোট্ট পোকা বংশবিস্তার করে আর্দ্রতার সংস্পর্শে। প্রায়ই চালের ড্রাম খুললেই দেখা যায় গিজগিজ করছে পোকা। এই পোকাযুক্ত চাল খেলে কী রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে?
গবেষণা বলছে, মানুষকে সংক্রামিত করে এমন রোগ বহন করে না এই ধরনের পোকা। তবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের মতো রোগের সংক্রমণ না ঘটালেও এগুলো চালের গুণমান ও স্বাদ নষ্ট করে দেয়। এরা চালের দানা ফুটো করে ফেলে এবং লার্ভারা চালের ফুটোর ভেতরেই বসবাস করে। এই ধরনের চালের ভাত খেতে কারোরই ভালো লাগবে না। ফলে চাল পোকামুক্ত রাখা জরুরি। চালে যদি পোকা হয়েই যায়, তবে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে এগুলো দূর করতে পারেন-
- ছড়ানো কোনও পাত্রে চাল নিয়ে সরাসরি রোদে রেখে দিতে পারেন। দূর হবে পোকা।
- চালের পোকা দূর হলেও এর ডিম খোঁজা প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে ৩-৪ দিনের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন চাল। লুকানো লার্ভা বা ডিম নষ্ট হয়ে যাবে।
- খোসাসহ কয়েকটি রসুন রেখে দিন চালের মধ্যে। শুকিয়ে গেলে বদলে দেবেন রসুনগুলো। রসুনে থাকা সালফার পোকামাকড়কে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
- কয়েকটা লবঙ্গ ও এলাচ ফেলে দিলেও চাল থাকবে ঝরঝরে ও পোকামুক্ত।
- চালের ড্রামে দেশলাই বাক্স ফেলে রাখলেও পোকামাকড়ের আক্রমণের ঝুঁকি কমে। কারণ দেশলাই বাক্সেও সালফার থাকে, যার গন্ধে পোকামাকড় দূরে থাকে।