০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৪ Time View

ফল প্রকাশের দিন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উল্লাস (ফাইল ছবি)

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, যেকোনও শিক্ষাবর্ষে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাল এবং ধারাবাহিকভাবে আগের দুই সালে দেশের যেকোনও শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনও কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। 

বিদেশি কোনও বোর্ড বা অনুরূপ কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি ২ দশমিক ১ এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনও বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না উল্লেখ করে এতে বলা হয়, কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ অথবা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা অথবা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এক শতাংশ এবং অধীন দফতর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এক শতাংশসহ মোট দুই শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে।

যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দফতরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। 

মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনও অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

নীতিমালায় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কোনও কোটা রাখা হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

Update Time : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ফল প্রকাশের দিন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উল্লাস (ফাইল ছবি)

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, যেকোনও শিক্ষাবর্ষে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাল এবং ধারাবাহিকভাবে আগের দুই সালে দেশের যেকোনও শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনও কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। 

বিদেশি কোনও বোর্ড বা অনুরূপ কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি ২ দশমিক ১ এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনও বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না উল্লেখ করে এতে বলা হয়, কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ অথবা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা অথবা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এক শতাংশ এবং অধীন দফতর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এক শতাংশসহ মোট দুই শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে।

যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দফতরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। 

মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনও অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

নীতিমালায় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কোনও কোটা রাখা হয়নি।