প্রতিষ্ঠার পর এবারই সবচেয়ে অনুকূল সময়ে জাতীয় সমাবেশ করছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশে দেশের ডান, ধর্মভিত্তিক ঘরানার দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন আনুপাতিক হারে করা, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে বিএনপিসহ দেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, অনেকেই আমন্ত্রণ পেলেও জামায়াতের সমাবেশে যাচ্ছেন না। তবে সমাবেশে এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅিধকার পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির দায়িত্বশীলরা জানান, বিএনপির কোনও প্রতিনিধিত্ব সমাবেশে থাকছে না।
দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির কোনও নেতা সমাবেশে যাচ্ছেন না।
এনসিপির নেতা মুশফিক উস সালেহীন জানান, তার দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব যাবেন জামায়াতের সমাবেশে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক জানান, তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে আছেন। দলের একটি প্রতিনিধি দল জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবে।
নাগরিক ঐক্যের একজন জানান, দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সমাবেশে আমি যাবো। আমার সঙ্গে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা যাবেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, তার দল সমাবেশের বিষয়ে অবহিত নয়।
প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশে সমাবেশ করছে জামায়াত
সমাবেশে যেতে গণসংহতি আন্দোলনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে জামায়াত। সংহতির এক নেতা জানান, সমাবেশে তাদের কেউ যাবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমি সমাবেশে যাবো। আমাদের দলের তিন জন প্রতিনিধি যাবেন জামায়াতের সমাবেশে।’
দুপুর ২টা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির সাংস্কৃতিক উইং প্রচারণামূলক গান তৈরি করেছে। সমাবেশে লোক আনা-নেওয়ার জন্য ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস ভাড়া করেও আসছেন নেতাকর্মীরা।
Reporter Name 









