গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে পাবনা সদর উপজেলাধীন রাধানগর এলাকার সদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিসে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল আছে জেনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার সরজমিনে গিয়ে জানা যায় চারটি বস্তায় মোট ৪০ টি জাল জব্দ করা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা
এ বিষয়ে জাল মালিকে মোঃ বাদশার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ নাহারুল ইসলাম বলেন এ ধরনের জালে অতি সূক্ষ্ম ছিদ্র হওয়াতে পোনা মাছ, মাছের ডিম সহ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব জালে মাছ সহ জলজ প্রাণী ধরা পরলে আর বের হতে পারে না ফলে যেসব মাছ ও জলজ প্রাণী মানুষের খাবার অযোগ্য সেগুলো মারা পরছে এতে জলজ পরিবেশ, ইকোসিস্টেম ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করবে। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ ধরনের জালের ব্যবসা, মাছ শিকার ও কারখানা স্থাপন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জনস্বার্থে এসব অভিযান চলমান থাকবে এবং এসব অবৈধ জাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম বলেন কারেন্ট জাল ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি এর চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর চায়না দোয়ারী জাল
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গেলে আমাদের এসব নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা জানি বাংলাদেশের প্রায় তিন শতাধিক মাছের প্রজাতি বিলুপ্তের দ্বারপ্রান্তে অবাধে এসব ছোট ছিদ্রের জাল ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ঐতিহ্যের মৎস সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরবে।
সদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস এর এক কর্মকর্তা জানান ঢাকা থেকে এসব মাল মাঝে মাঝেই আমাদের কুরিয়ার সার্ভিসে আশে কিন্তু এসব জাল বৈধ না অবৈধ তা আমাদের জানা নেই।
জানা যায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যাপক হারে অবৈধ পণ্য দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশ করছে। মিথ্যা ঘোষণায় শত শত চালানে আসছে নিষিদ্ধ পণ্য। সুতা বলে ঘোষণা দিয়ে আনা হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল। আর ওসব অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্য আসছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
এ সময় আনসার বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিযানটিতে সহযোগিতা করেন।