পাবনার সুজানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আমলি আদালত-২) ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। মামলার আসামিদের মধ্যে প্রথমে ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষার জন্য জামিন মঞ্জুর করা হলেও, বাকিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিরা পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত আদালত এলাকা ছেড়ে চলে যান।
জানা গেছে, কারাগারে পাঠানো ১২ নেতাকর্মী ছিলেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। এর মধ্যে গোলাম আজম (৫২), ফারুক শেখ (৩৫), রুহুল আমিন (৩৭), জাবেদ (৩২), রঞ্জু খাঁ (৩২), আইয়ুব আলী (৩২), রাজ্জাক বিশ্বাস (৪২), হাসু বিশ্বাস (২৮), বিল্লাল শেখ (৩২), শরিফুল ইসলাম (২৮), মজিবর রহমান খান (৪৭), ও সাইফুল ইসলাম (২৮) রয়েছেন।
এ ঘটনা শুরু হয় ৯ জুলাই, যখন সুজানগর পৌর বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে শেখ আব্দুর রউফসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শেখ আব্দুর রউফকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর শেখ আব্দুর রউফের ছেলে আদনানুর রউফ রুদ্র বাদী হয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপরদিকে, চর ভবানীপুরের কাজলী খাতুনও ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ছাড়াও ঘটনার সময় অবৈধ অস্ত্র হাতে কয়েকজন নেতাকর্মীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি ১০ জনকে বহিষ্কার করে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, এটি জামিনযোগ্য মামলা। পরে জামিন পেতে আমরা চেষ্টা করবো।
পুলিশ জানায়, তারা দুটি পৃথক মামলার তদন্ত করছে এবং অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।