১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘যা দেখছি তা ভয়াবহ’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ Time View

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ৯ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটা  একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিষয়টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ১১ জুলাই।

এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে উত্তাল পুরো দেশ। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা আর প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শোবিজ তারকারাও খুনীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার।

সোচ্চার হওয়া তারকাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনও। ‘কোন দেশে বাস করছি আমরা’-বর্বরোচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এমনটাই। 

নিজের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এটা একটি মর্মান্তিক চিত্র। কাউকে এভাবে হত্যা করতে দেখা, আর অন্যরা দাঁড়িয়ে আছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা কোন ধরণের দেশে বাস করছি? লোকেরা দেখছিল কিন্তু কিছুই করেনি। এটা কতটা ভয়াবহ? আমি আর কী বলব জানি না। মনে হচ্ছে না যে, আমরা নরকে বাস করছি? আর সরকার? নীরব। সবসময়ের মতো। তারা কোথায়? কেন তারা কথা বলে না? কেন তারা পদক্ষেপ নেয় না? কেউ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি সত্যিই যা অনুভব করি তা বলার অনুমতিও কি পাই?’

আরেকটি পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। আমার মেয়ের কাছে আমিই তার পুরো পৃথিবী। কিন্তু এইরকম একটি দেশে আমি কীভাবে তাকে রক্ষা করব? আমরা কী ধরণের জায়গায় বাস করছি? কোন নিরাপত্তা নেই। মনের শান্তি নেই। আমরা আশা করেছিলাম পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমরা একটি উন্নত, নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। একটি নতুন সরকার এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ। আর যদি একটি নির্বাচিত সরকারের কোনও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, পরিবর্তন আনার সাহস না থাকে, তাহলে লাভ কী? আমি ভীত। আমি ক্ষুব্ধ। আমি মন ভেঙে গেছে এ ঘটনায়।’

বলা দরকার, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

‘যা দেখছি তা ভয়াবহ’

Update Time : ০২:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ৯ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটা  একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিষয়টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ১১ জুলাই।

এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে উত্তাল পুরো দেশ। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা আর প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শোবিজ তারকারাও খুনীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার।

সোচ্চার হওয়া তারকাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনও। ‘কোন দেশে বাস করছি আমরা’-বর্বরোচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এমনটাই। 

নিজের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এটা একটি মর্মান্তিক চিত্র। কাউকে এভাবে হত্যা করতে দেখা, আর অন্যরা দাঁড়িয়ে আছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা কোন ধরণের দেশে বাস করছি? লোকেরা দেখছিল কিন্তু কিছুই করেনি। এটা কতটা ভয়াবহ? আমি আর কী বলব জানি না। মনে হচ্ছে না যে, আমরা নরকে বাস করছি? আর সরকার? নীরব। সবসময়ের মতো। তারা কোথায়? কেন তারা কথা বলে না? কেন তারা পদক্ষেপ নেয় না? কেউ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি সত্যিই যা অনুভব করি তা বলার অনুমতিও কি পাই?’

আরেকটি পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। আমার মেয়ের কাছে আমিই তার পুরো পৃথিবী। কিন্তু এইরকম একটি দেশে আমি কীভাবে তাকে রক্ষা করব? আমরা কী ধরণের জায়গায় বাস করছি? কোন নিরাপত্তা নেই। মনের শান্তি নেই। আমরা আশা করেছিলাম পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমরা একটি উন্নত, নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। একটি নতুন সরকার এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা যা দেখছি তা ভয়াবহ। আর যদি একটি নির্বাচিত সরকারের কোনও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, পরিবর্তন আনার সাহস না থাকে, তাহলে লাভ কী? আমি ভীত। আমি ক্ষুব্ধ। আমি মন ভেঙে গেছে এ ঘটনায়।’

বলা দরকার, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।