বিএনপির নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি বলেছেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী-সমর্থক যদি চাঁদাবাজি, দখলবাজী, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হয়— তাহলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় শামা বলেন, “আমার দলের কেউ যদি দখলবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, বালুরঘাট দখলসহ কোন অন্যায় করে থাকেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না।”
“আপনারা এগুলো থেকে দূরে থাকবেন। এসব যদি করেন, দলের বদনাম হবে। সেই বদনাম আমি আমার ঘাড়ে নেবো না। দলও দলের ঘাড়ে নিবে না। আপনাদের বুঝতে হবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আছে। আপনারা এটা করলে ফ্যাসিবাদের দোসররা উপকৃত হবে। তারা আপনাদের সাথে মিশে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবে আর এ সকল দায়ভার ও আপনাদের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করবে। তাই আমার পরিষ্কার কথা। তাই আপনারা ভালো কাজ করবেন, কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত হবেন না, জনগণের পাশে থাকবেন।”
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিএনপি কর্মী সমীর সাহার মায়ের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, “অন্যায়কে আমি প্রশ্রয় দেবো না, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও প্রশ্রয় দেননা, তারেক রহমানও প্রশ্রয় দেয় না, বিএনপিও প্রশ্রয় দেয় না। সুতরাং, যে অন্যায় করবেন—নিজ দায়িত্বে করবেন। বিএনপি এখন সরকারে নেই। এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে।”
“সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে আমি অনুরোধ করেছি যে,সালথা-নগরকান্দার আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য সাধারণ মানুষকে সুখে-শান্তিতে রাখতে কোন অন্যায়ের সাথে আপোস করা যাবে না। যদি বিএনপির কোন নেতা ও কর্মী কোন অনৈতিক কাজে জড়িত হয়। সে যদি আমার কাছের লোকও হয়, বিএনপি’র কাছের লোকও হয়, তাকে আইনের আওতায় আনবেন। এটা আমার পরিষ্কার কথা।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল জুয়েল মুন্সি সুমন প্রমুখ।