পাবনার সুজানগরে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে এসেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে পাবনার সুজানগর উপজেলায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তারা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে তথ্য সরবরাহ করেন। এর আগে, গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হলের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিন সদস্যের প্রতিনিধিরা হলেন—রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম ও ওবায়দুর রহমান চন্দন এবং বিএনপির তথ্য সেলের সদস্য মাহবুবুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন গত বুধবার দুপুর ৩টার একটু আগে সুজানগরের নন্দিতা সিনেমা হল রোড এলাকায় বিএনপির নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। যা বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা কার্যকর করেছেন এবং ভালোভাবে তদন্ত করতে ও শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে ঘটনাস্থলে তিন সদস্যের টিম পাঠিয়েছেন। আমরা এলাকায় এসে জনগণের মতামত গ্রহণ করেছি। প্রশাসনের নিকট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জোর দাবি জানিয়েছি। অপরাধীদের কোনো ক্ষমা নেই। অপরাধী যেই হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেছি। শাস্তি কার্যকর করতে হবে।