সাপ্তাহিক ছুটি হওয়া সত্ত্বেও শুক্র ও শনিবার বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কাজ চালু রাখার নির্দেশ এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস শুক্রবার খোলা রাখা হয়েছে এবং শনিবার খোলা থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব কাজ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে বলে এই কর্মকর্তা শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন।

মিলেনিয়াম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বন্দর এবং কাস্টমসে কাজকর্ম চলছে ঢিমেতালে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা আগে জানতে না পারায় তাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। শনিবার অবশ্য বাড়তে পারে।”
এইচ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, “১০ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কাস্টমস নীতি) মু. রইচ উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয় অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম (ASYCUDA World System) এর ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়।
“এ অবস্থায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার উদ্দেশ্যে আগামী ১১-১২ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্বেও শুক্রবার ও শনিবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কাজকর্ম চলমান থাকবে।”

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “কাস্টমস হাউজ ও বেনাপোল বন্দর শুক্রবার সকাল থেকেই খোলা। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অনেকেই খোলা থাকার বিষয়টি না জানায় ব্যবসায়ীদের উপস্থিত একেবারেই কম।
“তবে শনিবার এটা বাড়বে বলে মনে করছি। খোলা রাখার বিষয়টি আগে ভাগে জানাজানি হলে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত থাকতো।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, “আমরা স্বাভাবিক সময়ের মতো বন্দরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। কোনো ব্যবসায়ী পণ্য চালান খালাস নিতে চাইলে অবশ্যই নিতে পারবেন।”