০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ৪১ Time View

বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরায়। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে সিরিজ নির্ধারণী। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫০ ওভারে তোলে ২৮৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তাওহীদ হৃদয় কিছুটা দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। বাকিরা থাকে আসা যাওয়ার মিছিলে, ফলে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তাতে ৯৯ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে লঙ্কানরা।  

২৮৬ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি ওপেনার তানজিদ তামিম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৩ বলে ১৭ রান করে দলীয় ১৯ রানে ফিরে যান সাজঘরে।

তানজিদের বিদায়ের পর দ্রুতই আরেকটি ধাক্কা খায় টাইগার শিবির। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত রানের খাতা খুলতেই পারেননি। শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসার পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন। কিন্তু ১৪তম ওভারে তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটল। দুনিথ ওয়েলালাগের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়লেন।

তাতে হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে ৪২ রানে। আর ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দিয়ে ক্রিজে থিতু হওয়ার আশা জাগিয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। ২৮ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি শামীম পাটোয়ারিও।

প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ১২ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ৭৫ বল খেলে লড়াকু ঢংয়ে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি।

ব্যক্তিগত ৫১ রানে দুশমন্ত চামিরার গুড লেংথে পড়া বলে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি হৃদয়। আগের ম্যাচেও সমান ৫১ রান করেই আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটার। সতীর্থদের আসা যাওয়া মিছিলে শেষে জাকের আলী শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

শ্রীলঙ্কার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

Update Time : ১২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরায়। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে সিরিজ নির্ধারণী। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫০ ওভারে তোলে ২৮৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তাওহীদ হৃদয় কিছুটা দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। বাকিরা থাকে আসা যাওয়ার মিছিলে, ফলে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তাতে ৯৯ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে লঙ্কানরা।  

২৮৬ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি ওপেনার তানজিদ তামিম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৩ বলে ১৭ রান করে দলীয় ১৯ রানে ফিরে যান সাজঘরে।

তানজিদের বিদায়ের পর দ্রুতই আরেকটি ধাক্কা খায় টাইগার শিবির। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত রানের খাতা খুলতেই পারেননি। শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসার পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন। কিন্তু ১৪তম ওভারে তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটল। দুনিথ ওয়েলালাগের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়লেন।

তাতে হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে ৪২ রানে। আর ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দিয়ে ক্রিজে থিতু হওয়ার আশা জাগিয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। ২৮ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি শামীম পাটোয়ারিও।

প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ১২ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ৭৫ বল খেলে লড়াকু ঢংয়ে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি।

ব্যক্তিগত ৫১ রানে দুশমন্ত চামিরার গুড লেংথে পড়া বলে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি হৃদয়। আগের ম্যাচেও সমান ৫১ রান করেই আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটার। সতীর্থদের আসা যাওয়া মিছিলে শেষে জাকের আলী শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা