১১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনায়

সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১০টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনায় উপস্থিত হন। পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথসভাটির আয়োজন করা হয়। নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাঃ তাসনিম জারা সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
জুলাই পদযাত্রার উত্তরাঞ্চলের শেষ জেলা পাবনার শহীদ চত্বরের পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে আগে ফ্যাসিবাদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে; এরপর নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে, এভাবেই আমরা নতুন দেশ গড়বো।
এনসিপির অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা সার্জিস আলম বলেন, আমরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। তিনি দখলদার, বিভিন্ন সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, মাদককারবারির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যূত্থানের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।
আরেক কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করে কোনও রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় দিয়েছিলাম। তখন আপোষ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। পাবনাকে উত্তরবঙ্গের প্রতিরোধের প্রতীক উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, এখানকার ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ একজোট হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এই ভূমিকার ঐতিহাসিক মূল্য পাবনা অবশ্যই পাবে।
নিজের নাগরিককে খুন করতে পারে, পঙ্গু করে দিতে পারে অন্ধ করে দিতে পারে, ওই সংবিধান আমাদের দরকার নাই, আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে, সেই নতুন সংবিধান আমরা আপনাদের সাথে করে নিয়ে আসবো, বলেন এনসিপির অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা তাসনিম জারা।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই পথসভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দলের নেতা-কর্মী সহ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

পথসভা শেষে নেতৃবৃন্দ রাতেই পাবনা ত্যাগ করেন।
তবে, বিকাল থেকেই শহীদ চত্বরের (লতিফ টাওয়ারের সামনে) তিন দিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় এবং পরে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই পথে যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পুরো শহরে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Editor

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনায়

Update Time : ১২:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১০টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাবনায় উপস্থিত হন। পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথসভাটির আয়োজন করা হয়। নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাঃ তাসনিম জারা সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
জুলাই পদযাত্রার উত্তরাঞ্চলের শেষ জেলা পাবনার শহীদ চত্বরের পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে আগে ফ্যাসিবাদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে; এরপর নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে, এভাবেই আমরা নতুন দেশ গড়বো।
এনসিপির অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা সার্জিস আলম বলেন, আমরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। তিনি দখলদার, বিভিন্ন সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, মাদককারবারির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যূত্থানের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।
আরেক কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করে কোনও রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় দিয়েছিলাম। তখন আপোষ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। পাবনাকে উত্তরবঙ্গের প্রতিরোধের প্রতীক উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, এখানকার ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ একজোট হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এই ভূমিকার ঐতিহাসিক মূল্য পাবনা অবশ্যই পাবে।
নিজের নাগরিককে খুন করতে পারে, পঙ্গু করে দিতে পারে অন্ধ করে দিতে পারে, ওই সংবিধান আমাদের দরকার নাই, আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে, সেই নতুন সংবিধান আমরা আপনাদের সাথে করে নিয়ে আসবো, বলেন এনসিপির অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা তাসনিম জারা।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই পথসভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দলের নেতা-কর্মী সহ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

পথসভা শেষে নেতৃবৃন্দ রাতেই পাবনা ত্যাগ করেন।
তবে, বিকাল থেকেই শহীদ চত্বরের (লতিফ টাওয়ারের সামনে) তিন দিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় এবং পরে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই পথে যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পুরো শহরে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।