স্মার্টফোন এখন আর শুধু ফোন নয়—এটি আমাদের কাজ, যোগাযোগ, বিনোদন ও জরুরি তথ্যের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু বর্ষাকালে হঠাৎ বৃষ্টি আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় অল্প পানিতে ভিজেই ফোন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঠিক এই জায়গাতেই ওয়াটারপ্রুফ কেস বা কভারের গুরুত্ব বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
চলুন জেনে নিই—বৃষ্টির দিনে কেন ওয়াটারপ্রুফ কভার ব্যবহার করা উচিত এবং কী ধরনের কভার ব্যবহার করবেন।

বৃষ্টির দিনে ওয়াটারপ্রুফ কভার ব্যবহারের উপকারিতা
১. ফোনকে পানির সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়
ওয়াটারপ্রুফ কেস এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে পানি, কাদা বা আর্দ্রতা ফোনের স্ক্রিন, স্পিকার বা চার্জিং পোর্টে ঢুকতে না পারে।
২. হঠাৎ বৃষ্টিতে ফোন বাঁচে
রাস্তায় বা বাইকে চলার সময় হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলে কভার ছাড়া ফোন ভিজে যেতে পারে। ওয়াটারপ্রুফ কেস থাকলে সে সমস্যা হয় না।

৩. ফোন ব্যবহার করাও সম্ভব হয়
এই ধরনের কেসে ফোনের টাচ স্ক্রিন সাধারণত কাজ করে, ফলে কল রিসিভ, মেসেজ দেখা বা ফটোগ্রাফি করা যায়।
৪. পিকনিক বা ট্রাভেলেও নিরাপদ
শুধু বৃষ্টি নয়—সাঁতার কাটা, নদীতে ঘোরাফেরা, ট্রেকিং, বা বরফে ট্রাভেল করার সময়ও ফোনের জন্য ওয়াটারপ্রুফ কেস কার্যকর।

কী ধরনের ওয়াটারপ্রুফ কভার পাওয়া যায়?
কভার কিনতে হলে কী দেখবেন?
IP Rating (যেমন: IP67, IP68)
এটি বলে দেয় কতটা পানিরোধী কভার। IP68 মানে ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফোন থাকবে নিরাপদ।
টাচ সেনসিটিভ কিনা
অনেক কভার পানিরোধী হলেও স্ক্রিন টাচ কাজ করে না। তাই কেনার আগে নিশ্চিত হোন।
ক্যামেরা ক্লিয়ার লেন্স আছে কি না
যদি ছবি তোলেন, তবে ক্যামেরার অংশে পরিষ্কার অংশ আছে কি না তা দেখুন।
সস্তা মানের কভার থেকে সাবধান
কম দামে বাজারে অনেক কভার পাওয়া যায়, কিন্তু সবকটি কার্যকর নয়। সঠিক সিলিং না থাকলে তা পানিরোধে ব্যর্থ হয়। ফলে উল্টো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।