০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্যৈষ্ঠের তাপে দেশি ফলের সুবাসের ঋতু

গ্রীষ্মের জনজীবন কি শুধুই দহনের হাওয়া বয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা? এই হাওয়ায় তো বয়ে আসে বিচিত্র রসাল ফলের মিষ্টি সুবাস আর নানা বর্ণের ফল দেখার চোখের আনন্দও। জ্যৈষ্ঠ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রকৃতি এখন সজীব আর রসময়। ফলে ফলে ভরে উঠেছে প্রকৃতির বিপুল আয়োজন।

বসন্তে ফুল ফোটে, মুকুল আসে। জ্যৈষ্ঠের তাপে আর বারিধারায় পুষ্ট হয় ফল। সবই যেন গ্রীষ্মের উপহারের ডালি সাজানোর জন্য প্রকৃতির তৎপরতা। এই ঋতুর প্রায় সব ফলই মিষ্টি আর সুঘ্রাণ।

আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, তরমুজ তো আছেই। এর বাইরে আছে এই মাটির ফল। বইয়ের পাতায় সেগুলোর পরিচিতি ‘অপ্রচলিত ফল’ নামে। অথচ এরাই আদি-অকৃত্রিম বাংলার। গ্রামগঞ্জে ফলে ওঠে অযত্নেই, নিজেরই গরজে। শহরের ফলের বাজারে, গলির মোড়ে এরা ঢের মেলে।

গ্রীষ্মের জনজীবন কি শুধুই দহনের হাওয়া বয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা? এই হাওয়ায় তো বয়ে আসে বিচিত্র রসাল ফলের মিষ্টি সুবাস আর নানা বর্ণের ফল দেখার চোখের আনন্দও। জ্যৈষ্ঠ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রকৃতি এখন সজীব আর রসময়। ফলে ফলে ভরে উঠেছে প্রকৃতির বিপুল আয়োজন।

বসন্তে ফুল ফোটে, মুকুল আসে। জ্যৈষ্ঠের তাপে আর বারিধারায় পুষ্ট হয় ফল। সবই যেন গ্রীষ্মের উপহারের ডালি সাজানোর জন্য প্রকৃতির তৎপরতা। এই ঋতুর প্রায় সব ফলই মিষ্টি আর সুঘ্রাণ।

আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, তরমুজ তো আছেই। এর বাইরে আছে এই মাটির ফল। বইয়ের পাতায় সেগুলোর পরিচিতি ‘অপ্রচলিত ফল’ নামে। অথচ এরাই আদি-অকৃত্রিম বাংলার। গ্রামগঞ্জে ফলে ওঠে অযত্নেই, নিজেরই গরজে। শহরের ফলের বাজারে, গলির মোড়ে এরা ঢের মেলে।

সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের সূত্র বলছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৩০টি ফলকে দেশি ফল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বুনো ফল ৬০টি। ১০টি আমাদের প্রধান ফল। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ ফলের সংখ্যা ১৮। আজ আমরা অপ্রচলিত দেশি ফলের কথাই বলি।

এখন চলছে তালশাঁস খাওয়ার সেরা সময়। গ্রামের কচি তাল এখন শহরে চলে এসেছে। একটি তালে শাঁস থাকে সাধারণত তিনটি। কখনো বা দুটি। রাজধানীতে প্রতিটি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫–১০ টাকায়। তালের শাঁসে জলীয় অংশই প্রধান। এই গরমে তালশাঁস মন জুড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি মুহূর্তেই যে মনে ফিরিয়ে আনে গ্রামের জলহাওয়ার অনুভূতি, তা তো অমূল্য।

বাজারে আপেল-আম-লিচুর ঝাঁকে উঁকি দিচ্ছে এখন জামরুলও। সাদা জামরুলই বেশি। লাল শাড়ি পরা নতুন বউয়ের সাজে টকটকে লাল জামরুলও মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। সাদাটি বিকোচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, লালটি ১২০। জামরুলে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। গরমে পানির চাহিদা মেটাতে জামরুল অনবদ্য।

‘পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ’—এই বলে কবি জসীমউদ্‌দীন কী সুখ্যাতিই না দিয়েছেন জামকে। গ্রামেগঞ্জে একসময় প্রচুর জামগাছের দেখা মিলত। এখন গাছ গেছে কমে, জামের নাম উঠে গেছে দামি ফলের তালিকায়। সকালে যাত্রাবাড়ীর বাজারে বিক্রেতা খুদি জাতের জামের দাম হাঁকলেন প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। বিক্রেতা জানান, ছোট আকারের জাম আসতে শুরু করেছে। মহিষে জাত বলে পরিচিত বড় মিষ্টি কালোজাম আসছে কিছুদিন বাদেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Khaled Hossain

জনপ্রিয় খবর

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শুভেচ্ছা

জ্যৈষ্ঠের তাপে দেশি ফলের সুবাসের ঋতু

Update Time : ০৯:২৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

গ্রীষ্মের জনজীবন কি শুধুই দহনের হাওয়া বয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা? এই হাওয়ায় তো বয়ে আসে বিচিত্র রসাল ফলের মিষ্টি সুবাস আর নানা বর্ণের ফল দেখার চোখের আনন্দও। জ্যৈষ্ঠ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রকৃতি এখন সজীব আর রসময়। ফলে ফলে ভরে উঠেছে প্রকৃতির বিপুল আয়োজন।

বসন্তে ফুল ফোটে, মুকুল আসে। জ্যৈষ্ঠের তাপে আর বারিধারায় পুষ্ট হয় ফল। সবই যেন গ্রীষ্মের উপহারের ডালি সাজানোর জন্য প্রকৃতির তৎপরতা। এই ঋতুর প্রায় সব ফলই মিষ্টি আর সুঘ্রাণ।

আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, তরমুজ তো আছেই। এর বাইরে আছে এই মাটির ফল। বইয়ের পাতায় সেগুলোর পরিচিতি ‘অপ্রচলিত ফল’ নামে। অথচ এরাই আদি-অকৃত্রিম বাংলার। গ্রামগঞ্জে ফলে ওঠে অযত্নেই, নিজেরই গরজে। শহরের ফলের বাজারে, গলির মোড়ে এরা ঢের মেলে।

গ্রীষ্মের জনজীবন কি শুধুই দহনের হাওয়া বয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা? এই হাওয়ায় তো বয়ে আসে বিচিত্র রসাল ফলের মিষ্টি সুবাস আর নানা বর্ণের ফল দেখার চোখের আনন্দও। জ্যৈষ্ঠ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রকৃতি এখন সজীব আর রসময়। ফলে ফলে ভরে উঠেছে প্রকৃতির বিপুল আয়োজন।

বসন্তে ফুল ফোটে, মুকুল আসে। জ্যৈষ্ঠের তাপে আর বারিধারায় পুষ্ট হয় ফল। সবই যেন গ্রীষ্মের উপহারের ডালি সাজানোর জন্য প্রকৃতির তৎপরতা। এই ঋতুর প্রায় সব ফলই মিষ্টি আর সুঘ্রাণ।

আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, তরমুজ তো আছেই। এর বাইরে আছে এই মাটির ফল। বইয়ের পাতায় সেগুলোর পরিচিতি ‘অপ্রচলিত ফল’ নামে। অথচ এরাই আদি-অকৃত্রিম বাংলার। গ্রামগঞ্জে ফলে ওঠে অযত্নেই, নিজেরই গরজে। শহরের ফলের বাজারে, গলির মোড়ে এরা ঢের মেলে।

সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের সূত্র বলছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৩০টি ফলকে দেশি ফল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বুনো ফল ৬০টি। ১০টি আমাদের প্রধান ফল। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ ফলের সংখ্যা ১৮। আজ আমরা অপ্রচলিত দেশি ফলের কথাই বলি।

এখন চলছে তালশাঁস খাওয়ার সেরা সময়। গ্রামের কচি তাল এখন শহরে চলে এসেছে। একটি তালে শাঁস থাকে সাধারণত তিনটি। কখনো বা দুটি। রাজধানীতে প্রতিটি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫–১০ টাকায়। তালের শাঁসে জলীয় অংশই প্রধান। এই গরমে তালশাঁস মন জুড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি মুহূর্তেই যে মনে ফিরিয়ে আনে গ্রামের জলহাওয়ার অনুভূতি, তা তো অমূল্য।

বাজারে আপেল-আম-লিচুর ঝাঁকে উঁকি দিচ্ছে এখন জামরুলও। সাদা জামরুলই বেশি। লাল শাড়ি পরা নতুন বউয়ের সাজে টকটকে লাল জামরুলও মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। সাদাটি বিকোচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, লালটি ১২০। জামরুলে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। গরমে পানির চাহিদা মেটাতে জামরুল অনবদ্য।

‘পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ’—এই বলে কবি জসীমউদ্‌দীন কী সুখ্যাতিই না দিয়েছেন জামকে। গ্রামেগঞ্জে একসময় প্রচুর জামগাছের দেখা মিলত। এখন গাছ গেছে কমে, জামের নাম উঠে গেছে দামি ফলের তালিকায়। সকালে যাত্রাবাড়ীর বাজারে বিক্রেতা খুদি জাতের জামের দাম হাঁকলেন প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। বিক্রেতা জানান, ছোট আকারের জাম আসতে শুরু করেছে। মহিষে জাত বলে পরিচিত বড় মিষ্টি কালোজাম আসছে কিছুদিন বাদেই।